Academy

মি. আনিস সিদ্দিকী একটি উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক। সেখানে আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানসম্মত শিক্ষার অভাব প্রভৃতি সমস্যাগুলো বিদ্যমান। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো এসব সমস্যার সমাধানে বেশ তৎপর। এমনকি সচেতন জনগোষ্ঠীর মাঝেও এ ব্যাপারে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। 

আইনের শাসন বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)

Created: 7 months ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago
Ans :

সুশাসনের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো আইনের শাসন। আইনের
শাসন বলতে মূলত বোঝানো হয় রাষ্ট্রীয় জীবনে নিরপেক্ষভাবে আইন
প্রয়োগের মাধ্যমে মানবাধিকারের সংরক্ষণকে। সংখ্যালঘু ও
রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এর শর্ত। স্বাধীন

নিরপেক্ষ এবং দুর্নীতিমুক্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। এটি জনগণের অধিকার রক্ষার রক্ষাকবচ। 

7 months ago

পৌরনীতি ও সুশাসন

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

1 UNDP-এর পূর্ণরূপ কী? (জ্ঞানমূলক)

Created: 7 months ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago

কUNDP-এর পূর্ণরূপ হলো United Nations Development
Programme |

সাধারণভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনের অস্থিতিশীল পরিবেশকে রাজনৈতিক অস্থিরতা বলা হয়। একটু ব্যাপকভাবে বলতে গেলে ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক পরিবেশে যখন রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সুষ্ঠু রাজনীতি চর্চার অভাবহেতু পারস্পরিক অবিশ্বাস, সন্দেহ, কোন্দল এবং হানাহানি ও সহিংসতা দেখা দেয়, সেই পরিবেশকে রাজনৈতিক অস্থিরতা বলে। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এর ফলে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়, নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে না। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ সুশাসনের অন্তরায়।

ক' দেশটির উল্লিখিত সমস্যাগুলো সামাজিক সমস্যা। কোনো দেশের আর্থসামাজিক বিপর্যয়ের ওপর নির্ভর করে এ ধরনের সামাজিক সমস্যার জন্ম হয়। এরূপ সামাজিক সমস্যা অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। যেমন অধিক জনসংখ্যা একটি সামাজিক সমস্যা, কিন্তু এটি অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করে, পরিবেশ বিপন্ন করে, সামাজিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে, রাজনৈতিক পরিবেশকে প্রভাবিত করে থাকে। অধিক জনসংখ্যা শিক্ষা বিস্তারে বাধার কারণ হয়। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়, অপরাধপ্রবণতা বাড়ে অর্থাৎ একটি সমস্যা থেকে একাধিক সমস্যার উৎপত্তি হয়। উদ্দীপকের সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। এসব মূলত সামাজিক সমস্যা হলেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যারও সৃষ্টি করে থাকে। যেকোনো দেশের জন্য এসব সমস্যা সুশাসনের অন্তরায়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পথে এসব সমস্যা যখন বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন তা সুশাসনের অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। আর সুশাসনের অন্তরায় দুঃশাসনকে টেনে আনে।

সুনাগরিকগণ একটি দেশের সর্বোত্তম সম্পদ। একটি দেশের অগ্রগতি, উন্নতি নির্ভর করে সুনাগরিকদের কাজের ওপর। 

কোনোদেশের সরকারের একার পক্ষে দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। জনগণ ও সরকার সম্মিলিতভাবে এসব সমস্যার সমাধান করতে পারে। উদ্দীপকে বর্ণিত 'ক' দেশটির সমস্যা সমাধানেও নাগরিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোনো দেশের জনসংখ্যা সমস্যা সমাধান সরকার যত কার্যক্রমই গ্রহণ করুক না কেন, জনগণের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া তা সম্ভব নয়। জনসংখ্য পরিকল্পনায় প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে।
জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সচেতনতা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আবশ্যক। শিক্ষা বিস্তারে দেশের জনগণ সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে। শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি নাগরিককে এক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। যারা শিক্ষার আলো থেকে দূরে, তাদেরকে শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষা ছাড়া কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব নয়। শিক্ষাই উন্নতির সোপান, কথাগুলো শিক্ষা বঞ্চিতদেরকে বোঝাতে হবে।

সন্ত্রাস ও দুর্নীতি একটি দেশের জন্য অভিশাপস্বরূপ। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিরা সমাজেরই অংশ। নাগরিকদের একটি অংশই এ কাজে যুক্ত থাকে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সাধারণ জনগণকেই সজাগ থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে দুর্নীতি থেকে মুক্ত থাকে, সেজন্য নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। দুর্নীতিবাজদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি দূর করা খুবই সহজ কাজ। এ ব্যাপারে নাগরিকদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।

5 সুশাসন কী? (জ্ঞানমূলক)

Created: 7 months ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago

শাসন প্রক্রিয়ায় সুশৃঙ্খল, কাঠামোবদ্ধ ও আদর্শ এমন রূপকে সুশাসন বলা হয় যেখানে আইনের শাসন, নিরপেক্ষ, সংবেদনশীল, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং কার্যকর শাসন পদ্ধতি চালু থাকবে।

মি. আনিস সাহেবের দেশটিতে আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানসম্পন্ন শিক্ষার অভাব ইত্যাদি সমস্যা বিদ্যমান। এসবই সুশাসনের পথে পাহাড়সম বাধা সৃষ্টি করে থাকে। এসব সমস্যা অতিক্রম করতে না পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
আইনের শাসন সুশাসনের প্রথম শর্ত। এটি না থাকলে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। মানবাধিকার রক্ষিত হয় না।
রাজনৈতিক অস্থিরতা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বিঘ্নিত করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। পরমতসহিষ্ণুতা সৃষ্টি হতে বাধা দেয়। দুর্নীতি ও সন্ত্রাস সমাজের প্রতিটি স্তরকে ক্ষতবিক্ষত করে।। মানুষের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে।এ কাজে যদি সরকারকে অধিক সময় দিতে হয় তবে জনকল্যাণমূলক কাজ করার মতো পর্যাপ্ত সুযোগ সরকার পায় না। আর মানসম্পন্ন শিক্ষার অভাব জনগণের মধ্যে সচেতনতার সৃষ্টি করে না এবং অংশগ্রহণমূলক ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটায় না। যথাযথ শিক্ষা ব্যতীত জনগণ তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারে না বিধায় গণতান্ত্রিক পরিবেশকে কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করতে পারে না।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...